২০২২ সালে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সেরা ৫ টি উপায় | Best top 5 ways earn money from mobile in home bangla|

হ্যালো ভিজিটর আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমি জানাবো ঘরে বসে হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ৫টি উপায়।  বর্তমান সময়ে অনলাইনেই মানুষ বেশী সময় দিচ্ছে, তা তা ক্রমে আরো অধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অনলাইন দুনিয়ায় কেউ কেউ বিনোদনের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে আবার কেউ কেউ তাদের মেধা খাটিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তার মধ্যে থেকে জনপ্রিয় ৫টি আমি আজকে আপনাদের জানাবো।

২০২২ সালে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সেরা ৫ টি উপায় | Best top 5 ways earn money from mobile in home bangla|



তো বন্ধু আগে আপনাকে আপনার উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে যে এই কাজ আমি পারবো অন্যরা পারলে আমি বা আপনি কেনো পারবেন না। কোনো কাজ করার আগে তার শেষ পর্যন্ত না পৌছিয়ে হাল ছেড়ে দিলো চলবে না। এখন আমি আপনাদের টাকা ইনকাম করার যে পাঁচটি উপায় বলবো তা যদি মন দিয়ে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন। এবং সেইটা আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই করতে পারবেন। তো বন্ধু আর কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় আসা যাগ।

মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা পাঁচটি উপায়ঃ

৫. ফটো বা ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করার উপায়।

আমাদের এই লিস্টের পাঁচ নাম্বারে রয়েছে ফটো বা ভিডিও বিক্রি করে। আপনার হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে এই ফোনের মাধ্যমে আপনি ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করে তা বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে অনলাইন থেকে ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করে তা বিক্রি করবেন তাহলে আপনি ভূল ভাবছেন। আপনি যদি সত্যি সত্যি ফটো ভিডিও বিক্রি করে টাকা আয় করতে চান? তাহলে ফটো বা ভিডিও আপনার নিজের হতে হবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে আপনি ফটো বা ভিডিও কোথায় পাবেন। ভাই এটা খুবই সহজ ওইযে বললাম আপনার একটি স্মার্ট ফোন রয়েছে এটার মাধ্যমেই আপনি ফটো ভিডিও কালেক্ট করতে পারবেন। 

আগে বলছি কিভাবে ফটো ভিডিও কালেক্ট করবেন, এরপর বলছি এই ফটো বা ভিডিও কোথায় বিক্রি করবেন।

যেভাবে ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করবেন? 

প্রথমে বলছি যারা শহরে থাকেন।

যারা শহরে থাকেন তারা মাছের বাজার থেকে মাছের ফটো বা ছোট ছোট ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া বাজারে তাজা তাজা কাঁচা সব্জি থাকে আপনি সেগুলোর ফটো ভিডিও নিতে পারেন। এছাড়া রাস্তায় দেখা যায় বিভিন্ন খাবার বিক্রি হয়, খাবার ওয়ালা যখন খাবার তৈরি করে আপনি সেই সময়টা আপনার মোবাইলে ধারন করে নিতে পারেন। এছাড়াও শহরে থেকে বিভিন্ন রকম ফটো বা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়।

যারা গ্রামে থাকেন।

শহর থেকে যেভাবে ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করার নিয়ম বললাম, গ্রাম থেকেও ওইসব ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করা যাবে। কারন প্রত্যেক গ্রামের আশ পাশে ছোট ছোট বাজার রয়েছে সেখানে থেকে এসব ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করা যায়। এছাড়া গ্রামে অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে যেগুলো খুব সহজেই মোবাইল থেকে সংগ্রহ করা যায়। গ্রামে এটাই ফটো বা ভিডিও কালেক্ট করার সেরা উপায়।

এবার আসি আপনার ফটো বা ভিডিও যেখানে বিক্রি করবেন। ফটো বা ভিডিও বিক্রি করার অসংখ্য মার্কেট প্লেস রয়েছে, তার মধ্যে থেকে জনপ্রিয় ৫টির তালিকা দেয়া হলো। নিচে সেই মার্কেট প্লেসের তালিকা।

1. shutterstock 
2. freepik
3. videezy
4. videvo
5. dareful

এই সকল মার্কেট প্লেসে পাবলিসার অ্যাকাউন্ট তৈরি কাজ শুরু করে দিতে পারেন

৪. ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়।

আপনি যদি লেখা লেখি করতে ভালোবাসেন বা আপনার যদি লেখার অব্যাশ থাকে তাহলে আপনি লেখা লেখি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অবশ্য লেখা লেখি করতে নিজের একটি ওয়েব সাইটের প্রয়োজন হবে, আর এই ওয়েব সাইট তৈরি করতে ডোমেই হোস্টিং কিনতে প্রথমে কিছু টাকা খরছ হবে। 

আপনি চাইলে প্রথমে ফ্রি তেও একটি ওয়েব সাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে wordpress বা blogspot এর সাহায্য নিতে হবে, এখান থেকে আপনি ফ্রিতে খুব সহজে একটি ওয়েব সাইট তৈরি সেই ওয়েব সাইটে আপনার লেখা পাবলিশ্ড করতে পারেন।

এখন আপনার মনে নিশ্চই প্রশ্ন জেগেছে যে এখান থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে হবে? টাকা ইনকামের জন্য প্রথমে আপনার ওয়েব সাইটে ১৫-২০ টি ইউনিক পোস্ট করতে হবে, তারপর আপনার ওয়েব সাইটকে google adsense সাথে যুক্ত করতে হবে অর্থাৎ google adsense এপলাই করতে হবে। আপনার সাইটে সবকিছু ঠিক থাকলে google adsense approve হয়ে যাবে আর তখন থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হবে। সেই ইনকাম আপনার google adsense অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

৩. ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়।

আমাদের এই লিস্টের তিন নাম্বারে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায়। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য অনেক মার্কেট প্লেস রয়েছে তবে আমি শুধু একটা মার্কেট প্লেসের কথা বলবো, যেখানে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। সেই মার্কেট প্লেসটা হলো fiverr এটা খুবই জনপ্রিয়। আমি একটি মার্কেট প্লেসে কথা বললাম কারন, এখানে একাউন্ট করতে কোনো জামেলা নেই, তা ছাড়া ফাইবারে অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনি হয়ত ভাবছেন ফ্রিল্যান্সিং করতে কোনো কাজে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। হ্যা আমিও বলছি ফ্রিল্যান্সিং করতে দক্ষতার প্রয়োজন আছে, আপনার যদি কোনো কাজের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে তো ভালো, আর যদি না থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। আমি এটা নিয়ে একটা পোস্ট করেছি, 

কোনো দক্ষতা ছাড়া ফাইবার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার সেরা ৩টি উপায়? আপনি এই পোস্টটা দেখলে জানতে পারবেন, কিভাবে সহজ উপায়ে ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। 
নিচে সেই পোস্টটা দেওয়া হলো..দেখে নিতে পারেন।


২. ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়।

লিস্টের দুই নাম্বারে রয়েছে কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়? ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তার মধ্যে আমি একটি উপায় জানাবো যেটা খুবই জনপ্রিয় এবং সহজ। এজন্য প্রথমে আপনাকে ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করে নিতে হবে, হ্যা আমি জানাবো কিভাবে ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনার পেজটিকে গ্রো করতে হবে। অর্থাৎ পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৬০০০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম গত ৬০ দিনে পুর্ণ করতে হবে।

এগুলো পূর্ণ হলে মূলত আপনাকে পেজে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে হবে এটাকে বলে মনিটাইজ। আপনার পেজে সব শর্ত পুরন হলে আপনি পেজে মনিটাইজের জন্য আবেদন করতে পারবেন, এই আবেদন করার কিছু দিন পর আপনার পেজে মনিটাইজ অন হয়ে যাবে। আর তারপর থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হবে।


১. YouTube থেকে ইনকাম করার উপায়।

আমাদের লিস্টের এক নাম্বারে রয়েছে কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়? হাতে থাকা মোবাইল ফোন থেকে ইনকাম করার সব থেকে সেরা উপায় হলো YouTube.
প্রথমে একটি ইউটউব চ্যানেল খুলে নিতে হবে, এখানে চ্যানেল তৈরি করা খুবই সহজ, প্রথমে ইউটউবে গিয়ে জিমেইল এর মাধ্যমে লগিন করে নিতে হবে, তারপর আপনার জিমেইলে আইকনে ক্লিক করলে my channel নামে একটা অপশন দেখা যাবে সেখানে ক্লিক করে চ্যানেল নাম দিয়ে সাবমিট করলে আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে।

তারপর আপনার এই চ্যানেলকে google adsense এর মাধ্যমে ইনকাম করতে হবে এটাকে বলে চ্যানেল মনিটাইজ। চ্যানেল মনিটাইজ করার কিছু শর্ত আছে, তাহলো লাস্ট এক বছরের মধ্যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এক হাজার সাব্সক্রাইব ও চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম করতে হবে। এগুলো পূর্ণ হলে আপনার YouTube চ্যানেল মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলের সবকিছু ঠিক থাকলে মনিটাইজ পেয়ে যাবেন আপনার চ্যানেলে, আর তারপর থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হবে।


কিছু কথাঃ

আপনি যে উপায়ই ইনকাম করতে চান, সব খানেই আপনাকে লিগ্যাল ভাবে কাজ করতে হবে অর্থাৎ কোনো কপি পেস্ট চলবে না, যা পারেন নিজেরই ইউনিক ভাবে করতে হবে। এবং মনে বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে যে, আমাকে পারতেই হবে। আর কোনো কিছু নিয়ে বুঝতে সমস্যা হলে YouTube গিয়ে সেই বিষয়ে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, যা আমাদের দেশের অনেক ভাই ব্রাদার ভিডিও আকারে বুঝিয়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url